
আগামী ২৩ এপ্রিলই নাকি ধ্বংস হবে পৃথিবী! ওইদিনই আকাশে দেখা যাবে সৌরজগতের দ্বাদশ গ্রহ নিবিড়ুকে। সেদিনই ধ্বংস হবে আমাদের নীল গ্রহ! এমন ভবিষ্যত বাণী দিয়েছেন একজন ষড়যন্ত্র তত্ত্ববিদ।
সত্যিই কি এমন কিছু হবে? প্রথমেই বলে ফেলা যাক, না। এমন কোন ঘটনা যে ওইদিন ঘটবে না তা সকলেরই জানা। কারণ, এমন দাবি তো নতুন নয়। মাঝে মাঝেই এমন অসম্ভব দাবির কথা শোনা যায়।
গত বছরের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে দুই বার পৃথিবী ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’-এ বিশ্বাসীরা। বিষয়টি এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, এখন এমন কথা বললে মানুষ হাসাহাসি শুরু করে। তবু থেমে নেই ভবিষ্যদ্বাণীর।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্ল্যানেট এক্স তথা নিবিড়ু গ্রহের আবির্ভাবের সঙ্গেই অন্তিমকাল ঘনিয়ে আসবে পৃথিবীর। এমন বক্তব্যের কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আসলে নিবিড়ুর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
কিন্তু নিবিড়ুর আবির্ভাব নিয়ে বার বার সরব হয়েছে ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’-এর প্রবক্তারা। এই তত্ত্বের বিশ্বাসীদের ধারণা, রাষ্ট্র বা কখনও কখনও কোনও ক্ষমতাশালী গোষ্ঠী অনেক সময়ে বিভিন্ন ঘটনাকে চেপে দিতে এসব পন্থা অবলম্বন করে।
তাদের ধারণা, নাসা বা অন্যান্য মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইচ্ছাকৃতভাবেই নিবিড়ুর অস্তিত্বকে ‘অলীক’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছে। নিবিড়ু মোটেই কাল্পনিক নয়। সে এই সৌরজগতেই আছে।
নিবিড়ু গ্রহ ও মায়া সভ্যতার এক বিশেষজ্ঞ জেমস ম্যাককেনির মতে, প্রায় ১০ হাজার বছর আগে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল সভ্যতা। কারণ নিবিড়ু খুব কাছে চলে এসেছিল পৃথিবীর।
২৩ এপ্রিল পৃথিবীর ধ্বংসের সঙ্গে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বিশ্বাসীরা এবার মিলিয়ে দিয়েছেন যিশু খ্রিস্টকেও। বলা হচ্ছে, ওইদিন সূর্ষ, চাঁদ ও শুক্র এক সরলরেখায় আসবে। বাইবেল বর্ণিত ‘র্যাপচার’ অর্থাৎ যিশুর প্রত্যাবর্তনকেও জড়িয়ে ফেলা হয়েছে তাদের বক্তব্যে। সুত্র: এবেলা.ইন।