দশমিনায় প্রতিবন্ধীর জীবন চলে অতি কষ্টে

প্রকাশিত: ৪:২৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০১৮ | আপডেট: ৪:২৮:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০১৮

পটুয়াখালীর দশমিনায় প্রায় ৬ হাজার প্রতিবন্ধীর জীবন চলে অতি কষ্টে । কেউ খোঁজ নিচ্ছেনা ওরা কেমন আছেন। নেই কোন সরকারী বেসরকারী উদ্যোগ। প্রতিবন্ধীরা অযতেœ অবহেলায় অতি কষ্টে জীবন যাপন করছেন। উপজেলার ছয় ইউনিয়নে মোট লোকসংখ্যাা ১লক্ষ ৪৭হাজার ৪৩৪ জন যার মধ্যে শতকরা ৪ দশমিক ১ ভাগ প্রতিবন্ধী। মাত্র শতকরা শূন্য দশমিক ২৭ ভাগ প্রতিবন্ধী সরকারী সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান সহ সকল নাগরিক অধিকার বঞ্চিত দশমিনার হাজার হাজার প্রতিবন্ধী। ভাইয়া চোহে দেহিনা কই কমু এভাবে কথা বললেন উপজেলার নিজাবাদ গ্রামের নজির মৃধার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেয়ে রেশমা (১৯)। চোখ না থাকার জন্য কেউ বিয়ে করতে চায় না।

 

রেশমা এখন পরিবারের বোঝা। দুবেলা খেতে গেলে বিভিন্ন কথার তোপে পরে রেশমা। ছোট বেলায় জ্বর হলে চিকিৎসার অভাবে ছোখ দুটো নষ্ট হয়ে যায়। ঝন্টু মিয়া (৫০) ভাল নাম মোঃ হাতেম আলী ঝন্টু। কর্মজীবি মানুষের মধ্যে একজন। গ্রামে তার ভাল আয় রোজগার না হওয়ায় অধিক উপার্জনের আশায় রাজধানী ঢাকায় চলে যায়। কাজ মিলে জাহানারা প¬াজায়। ব্যস্ততম জাহানারা প¬াজায় কাজ করতে গিয়ে তার শরীরে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়। ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হলেও অর্থাভাবে ভাল চিকিৎসা মিলেনি। চিকিৎসকরা তার বাম হাত কেটে দেয়। অকেজো ডান হাত নিয়ে বাড়ী ফিরে ঝন্ট মিয়া। চির তরের জন্য তার রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যায়। সেই দুস্বপ্ন নিয়েবেঁচে ঝন্টু মিয়া। সাধের সংসার সাধ্য দিয়ে করতে পারেনি সাজু বিবি বিয়েরবছর ঘুরতে না ঘুরতেই কঠিন বেধী দেখা দেয় তার শরীরে। চিকিৎসকরা বলে গুটিবসন্ত। ভয়ে কেউ তার কাছে ঘেঁষেনা। অযতœ অবহেলায় তার চোখ দুটো স্থায়ী নষ্টহয়ে যায়। এভাবেই বাড়ছে উপজেলা দশমিনায় প্রতিবন্ধীর মিছিল। সাহায্য সহোযোগীতা স্বল্প পরিমানে থাকালেও। দীর্ঘ্য মেয়াদী পূণঃবাসন’র কোন পরিকল্পনা না থাকায় অন্যে মূখোপেক্ষী থাকতে হয় এসব প্রতিবন্ধীদের। দুই পা’নেই এমন ভিক্ষাবৃত্তিরত আলীপুর এলাকার আঃ জব্বার মিয়া (৬০) জানায়,আব্বা তিন মাস পর পর য্যা পাই হেইয়া দিয়া প্যাড চালান যায় না। ক্যাম্ফেযোগাড় করমু আর কি দিয়া দোহান দিমু। বেইন্না কালে পান্তা খাইয়া বাইরাই,মুহা সন্দায় রোয়ানা কর্ইরা টায়ার ঠ্যালতে ঠ্যলতে রাইত দুপার অয়। এইডা আমাগো জীবন। অল¬ারে কই লইয়া যাও আর বাঁচানোর ইচ্ছা নাই।

Print Friendly, PDF & Email