
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে সরকারি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা ও তাদের উপস্থিতির প্রতিবাদে ফের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তারা অবস্থান নেয়। সেখানে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে থেকে কয়েকটি মিছিল এসে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে মিলিত হয়। সেখানে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। এসব প্ল্যাকার্ডে লেখা আছে ‘হলে হলে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’; ‘ক্যাম্পাসে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’; ‘রামদা নিয়ে ক্যাম্পাসে কেন, ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন, ছাত্রদের উপর হামলা কেন, ছাত্রের বুকে গুলি কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি।
কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঢাবি ভিসির বাসভবনের হামলার যদি বিচার হয় তবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার বিচারও হতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ প্রশাসনকে এর জবাব এবং শিক্ষার্থীদের উপর হামলার বিচার করতে হবে।
শবনম নামে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ঢাবির এক শিক্ষার্থী বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ভিসির বাস ভবনে হামলাকারীদের কিছুটা চিহ্নিত হয়েছে, বাকিদেরও চিহ্নিত করা হবে। আন্দোলনের নামে যারা ভিসির বাসভবনে হামলা করেছে তাদের বিচার হবে। আমাদের প্রশ্ন, যারা ঢাবি ক্যাম্পাসে রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করলো, পুলিশ টিয়ারশেল ও গুলি ছুড়লো, এসব হামলায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হলো, সেই হামলাকারীদের বিচার তো তিনি চাইলেন না।
সরোয়ার নামে অপর শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে ঢাবি প্রশাসন। আমরা এমন অথর্ব প্রশাসন চাই না। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং পুলিশকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
এদিকে, সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক পরিচয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া করতে দেয়া হচ্ছে না।