রাজাপুর পশু হাসপাতাল নির্মান কাজে অনিয়ম, উদ্বোধনের আগেই খসে পড়ছে পলেস্তরা!
জি এম নিউজ জি এম নিউজ
বাংলার প্রতিচ্ছবি

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা পশু হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মান কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভবনের কাজ কাজ সম্পন্ন হয়েছে ঠিকাদার দাবি করলেও সিঁড়ির হাতল, চত্বরে মাটি ভরাট, ট্রাভিজ ও ওয়েদার কোট রং করা বাকি আছে। ভবনের চার পাশে ড্রেন করা হলেও পানি নিষ্কাসনের জন্য বাহিরের কোন ড্রেন নির্মান করা হয়নি।
বিভিন্ন স্থানে রং ও পলেস্তরা খসে পড়তে শুরু করেছে। ভবন হস্তান্তরের আগেই এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দ্রুত কাজ সম্পন্ন না করে অজ্ঞাত কারনে নব নির্মিত ভবনটি উদ্বোধন না করায় উপজেলার পশু সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ন্যূনতম কার্যক্রম চালাতে প্রায় পাঁচ বছর ধরে ভাড়া বাসার জন্য সরকার হাজার হাজার টাকা গুনলেও বিঘিœত হচ্ছে পশু চিকিৎসা সেবা। উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আবদুল্লাহ জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে উপজেলার পশু চিকিৎসার জন্য ছোট তিনটি কক্ষ প্রতি মাসে ভ্যাটসহ ৫ হাজার ৪৫০ টাকা করে ভাড়া করা হয়েছে। এর তিন পাশে রয়েছে ব্যসায়ী প্রতিষ্ঠান ও এক পাশে পারিবারিক বাসা এবং কোন ফাঁকা যায়গা না থাকায় পশুর চিকিৎসা সেবা দেয়া অসম্ভব হয়ে পরেছে। তিনি আরো বলেন, নব নির্মিত ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে ঠিকাদার দাবি করলেও তা সত্য নয়। তিনি অভিযোগ করেন, সিঁড়ির হাতল, চত্বরে মাটি ভরাট, ট্রাভিজ ও ওয়েদার কোট রং করা বাকি আছে। ভবনের চার পাশে ড্রেন করা হলেও পানি নিষ্কাসনের জন্য বাহিরের কোন ড্রেন নির্মান করা হয়নি। বিভিন্ন স্থানে রং ও পলেস্তরা খসে পড়তে শুরু করেছে।
ঠিকাদার মোঃ সেন্টু হোসেন জানান, ৫ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে দুই তলা ভবন নির্মানের জন্য বরাদ্ধ ছিল ১ কোটি ৬ লাখ টাকা। কিন্তু কাজ সম্পন্ন করতে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অতিরিক্ত বরাদ্ধ চেয়ে চাহিদা পত্র দিলে ১৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়। ওই ভবনের কোন কাজ বাকি নাই। তবে বাকি ২২ লাখ টাকা না পেলে ভবন হস্তান্তর করা হবে না। হস্তান্তর না করা হলে উদ্বোধন করা যাবে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঢাকা অফিসের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মোঃ শাহিন হোসেনের মতামতের জন্য তার ব্যবহৃত নম্বরে (০১৭১১৮১৬৭৪৪) কল দিলে তিনি রিসিভ করে পরে তথ্য দেয়ার কথা বলে কেটে দেন। পরে আর তিনি আর কল রিসিভ করেননি।