জাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলা, আহত অর্ধশতাধিক

জি এম নিউজ জি এম নিউজ

বাংলার প্রতিচ্ছবি

প্রকাশিত: ৯:৫৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০১৮ | আপডেট: ৯:৫৫:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০১৮
জাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলা, আহত অর্ধশতাধিক

কোটা সংস্কারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে পুলিশ। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নেয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুর একটার দিকে পুলিশের আকস্মিক হামলায় তারা আহত হন।

শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। হঠাৎ করে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে অর্ধশাতাধিক ছাত্র আহত হন। এর মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পরিস্থিতি এখনও উত্তাল। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করছে। পুলিশও তাদের দমাতে থেমে থেমে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করছে। আন্দোলনকারীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে ছত্রভঙ্গ হয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান নিয়েছে।

এর আগে সোমবার সকাল ১০টা থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা জাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এরপর থেকে রাস্তার দুই পাশেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এসে শেষ হয়। পরে সেখানেই সকাল সাড়ে দশটায় অবস্থান নেয় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।

 

কোটা সংস্কারের দাবিতে রোববার (৮ এপ্রিল) বিকেলে গণপদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করে ঢাবি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), ঢাকা কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তারা অবরোধ করেন শাহবাগ মোড়। রাস্তা থেকে তাদের হটিয়ে দিতে রাতে জলকামান ও টিয়ার শেল গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এসময় বেশ কিছু শিক্ষার্থী আহত হন।

রোববার রাতেই আন্দোলনকারীরা সোমবার সারাদেশে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জনের ডাক দেয়। এ আহ্বানে দেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন। পাশাপাশি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।

 

আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবি হচ্ছে- সরকারি নিয়োগে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্য পদে মেধায় নিয়োগ, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়া, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অভিন্ন বয়সসীমা, নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার না করা।

Print Friendly, PDF & Email