৫দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মারা গেলেন সকাল ৯টায়

শেষ রক্ষা হলোনা লাল মিয়ার

জি এম নিউজ জি এম নিউজ

বাংলার প্রতিচ্ছবি

প্রকাশিত: ১:৫০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০১৮ | আপডেট: ১:৫০:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০১৮

ফয়েজ আহমেদ, দশমিনাপ্রতিনিধি। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত হাজী কান্দা গ্রামের হাজীর হাট বাজারের চা দোকানদার মৃর্ত্য ছত্তার সরদারের পুত্র মোঃলাল মিয়ে সরদার(৫০)কে গত ৪এপ্রিল দিবাগত রাতে কে বা কাহারা বাড়ী থেকে ডেকে এনে কালা পীরের ভিটা নামক স্থানে দু’পায়ের রগ কেটে দেয় এবং তার পেটের উপর ধারালো অস্রধারা আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আহত লাল মিয়ার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশী তোফাজ্জলের স্ত্রী রেনু বেগম ও হারুন নামক দুই প্রতিবেশী তাকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে নিয়া আসে এবং কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্ররন করেন। ঐ দিন মুমুর্বাষাবস্থায় তাকে বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,আহত লাল মিয়াকে যে স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে,সেখান থেকে তার বসত বাড়ী বেশ দুরে।এলাকার লোকজনের দাবী লাল মিয়া বেশ নিরিহ লোক। এলাকায় তার কোন শত্রু নাই। তা হলে এমন ঘটনার কারন কি? এমন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি কেউ। তবে ঘটনাস্থথলে একটি ব্লে,একটি কীটনাশকের কৌটা,সিগারেটের প্যাকেট,কীটনাশক মাখা একটি কালো গেঞ্জি এবং রক্তাত্ব যায়গা পাওয়া যায়। লাল মিয়ার স্ত্রী মমতাজের সাথে ফোনে কথা বলে জানা যায়,রাত তখন অনুমান ৯টা হতে পারে। আমরা স্বামী স্ত্রী ঘরে বসে ভাত খাইতেছিলাম। হঠাৎ মোবাইলে একটা কল আসে।তবে লাল মিয়া ফোনটা কেটে দিয়ে আবার খেতে বসলে, স্ত্রী তাকে ফোনটি কে করেছে তা জিজ্ঞেস করে।কিন্তু সে কোন জবাব দেয়নি বলে জানায় মমতাজ।

 

পরে ভোর রাতে লাল মিয়াকে কিভাবে ঘর থেকে কে বা কাহারা নিয়ে এই নির্জন ভিটায় একাজ করেছে, তাহার কিছুই জানেনা স্ত্রী মমতাজ। এখবর পেয়ে দশমিনা থানার ওসি তদন্ত আলহাজ্ব মোঃ ইউনুচ মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেই থেকে আজ ৫দিন লাল মিয়াকে বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হলেও, শেষ রক্ষা হয়নি। আজ সকাল ৯ঘটিকার সময় মারা যায় লাল মিয়া। এ মর্মে দশমিনা থানার অফিসার ইন চার্জ রতন কৃঞ্চ রায় চৌধুরী বলেন,বিষয়টি শুনেছি, আমি নিজেই পিওতে যাচ্ছি এবং আসামীদের সনাক্ত করার চেস্টা করছি।

Print Friendly, PDF & Email