উন্নয়নে বাংলাদেশ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বাধা

মোঃ রবিউল করিম মোঃ রবিউল করিম

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৫:৩৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০১৮ | আপডেট: ৫:৩৮:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০১৮

বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল উন্নয়ন কাঠামো নিয়ে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে,উন্নয়নে বাংলাদেশ শীর্ষক অনুষ্ঠান।তৃনমূলের নেতা নেত্রী কর্মিদের সাক্ষাৎকার ও বর্তমান সরকার আমলে তাদের এলাকায় হওয়া উন্নয়নের প্রামান্য চিত্রের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে এই অনুষ্ঠান।এই উন্নয়নে বাংলাদেশ অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও পরিচালক মৃধা বেলাল এই প্রতিবেদক কে জানান,২০১৪ সাল থেকে এই অনুষ্ঠানটি নিয়ে আমার পরিকল্পনা,এই প্রোগ্রামটি প্রচার করার জন্য বেশ কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশনে যোগাযোগ করি তারা কেউই আমার এই উদ্যোগে সারা দেয়নি।

আবার কোন কোন টেলিভিশন সারা দিলেও অনুষ্ঠানটি প্রচারের জন্য চেয়েছে মোটা অংকের অর্থ। যা আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব হয়নি।অবশেষে সারা মিলে বেসরকারি টেলিভিশন ২৪ ঘন্টা টিভির।আমার পরিচালনায়,সহকর্মী হাফসা আহমেদ মিতুর উপস্থাপনায়,সহকর্মী সেলিম রেজার সহকারী পরিচালনায় শুরু করি অনুষ্ঠান নির্মানের কার্যক্রম।গভির রাতে আমার মুঠো ফোনে আসছে প্রান নাশের হুমকি।একটি কুচক্রী মহল ভুয়া ফেসবুক আইডি( সাপ্তাহিক দুর্নিতি দমন) দিয়ে চালাচ্ছে আমার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রচার প্রচারনা।তবুও হাল ছারিনি,কারন আমি যখন খুব ছোট অর্থাৎ ৪ ক্লাসে পড়ি।তখন থেকেই শপ্ন দেখছি,আমি দেশের জন্য ভালো কিছু করবো।দরিদ্র মেহনতী ও ভুক্তভুগি মানুষের পাশে দাড়াবো। বিশেষ করে আমার বাবার প্রিয় নেতা,বাঙ্গালী জাতির পিতা,শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারন করে পথ চলবো। আর শেখ মুজিব ও দেশকে ভালোবাসতে শিখেছি আমার বাবার কাছ থেকে।

আমার স্পষ্ট মনে আছে, আমার ছোট বেলার কথা।সন্ধ্যা ৬/৭ টায় টেবিলে পড়তে বসতাম,রাত ৮টা ৯টার দিকে বাবা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়িতে ফিরতেন।ফিরে দেখতেন আমি টেবিলে মাথা ঝুকে ঘুমাচ্ছি প্রায় দিনই বকাবকি করতেন-আর বলতেন ভালো ভাবে লেখা পড়া না করলে মানুষ হতে পারবিনা,গাধা হবি।আব্বার বকাবকিতে আমি কেদে দিতাম।ভাই বোনদের মধ্যে আমিই সবার ছোট তাই সাবার কাছেই ছিলাম আদরের পাত্র,বিশেষ করে বাবা আমাকে শাসনটাও বেশি করতো আবার বেশি ভালোবাসতো।আমার কান্না দেখলে আব্বা সহ্য করতে পারতেন না।বুকে টেনে নিয়ে মাথায় হাত বুলাতেন কপালে চুমু খেতেন আর বলতেন।তোকে মানুষের মত মানুষ হতে হবে।দেশের জন্য কাজ করতে হবে।

আব্বা বেশি বলতেন শেখ মুজিবের আদর্শের কথা।বলতেন নিষ্ঠুর র্নিমম ভাবে তার পরিবার সহ হত্যার কথা।বলতেন ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের কথা।বলতে বলতে এক সময় দেখতাম আব্বার গাল বেয়ে অশ্রু ঝরতে।আমি বুযতামনা আব্বা কেন কাদছেন।জানতে চাইলে তিনি তেমন কিছু বলতেন না।শুধু বলতেন নৌকায় যদি অন্তত ৭টা ভোটও পরে সেই ৭টা ভোট যেন আমার পরিবার থেকে যায়।তোদের কাছে আমার দাবী জিবনের শেষ ভোটটিও নৌকা প্রতিকে দিবি। আমার আদর্শিক পিতার সেই কথা গুলোকে মাথায় রেখে,দেশটাকে মায়ের মত ভালোবেসে বেরিয়ে পরেছি দেশ সেবা করতে।বেছে নিয়েছি সাংবাদিকতা পেশা।এই পেশা সততা ও দায়িত্বের সাথে পালন করতে গিয়ে,সয়েছি কতই না র্নিমম নির্যাতন। উল্লেখ্য ২০১৬ সালে অপহৃত ১৪ বছরের কিশোরী তানিয়াকে উদ্ধার করে,নিজেই অপহরণের শিকার হই।দির্ঘ তিন ঘন্টা যাবত চালানো হয় আমার উপর র্নিমম নির্যাতন, এক পর্যায় কৌশলে ওখান থেকে আমি পালাতে সক্ষম হই। এত নির্যাতনের পরেও পাইনি আইনি সহায়তা।তবুও দেশ সেবা থেকে সরে দাড়াইনি। যে কোন দুর্যোগে দরিদ্র মেহনতি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। যে কোন অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি।নিশ্বার্থে দেশকে ভালো কিছু উপহার দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছি।

Print Friendly, PDF & Email