
বরগুনাঃ বরগুনার কুমড়াখালীতে মন্দিরের নামে জমি দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নারী ও শিশু সহ দুই জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত কুনতীরানী (৫০) কে প্রথমে বরগুনা সদর হাসপাতালে এবং পরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এ ঘটনায় এখন এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। জমির মালিক অতুল চন্দ্র বেপারী পুত্র সঞ্জয় বেপারী অভিযোগ করে বলেন বরগুনা সদর উপজেলার ১নং বদরখালী ইউনিয়নের কুমড়াখালী এলাকার আমার বাবার মাছের ঘেড় গত শুক্রবার ৩০ মার্চ দিবাগত রাতে অনুমান ৩টার সময় পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মন্দিরের পাশে মাছের ঘের ভরাট করে কালী মন্দিরের নামে দখল করে দীলীপ চন্দ্র অধীকারী, শ্যামল চন্দ্র অধিকারী, লিটন, তপন, প্রভাষ চন্দ্র সিকদার, লিটন চন্দ্র সিকদার, বিমল চন্দ্র হালদার, জিতেন চন্দ্র হালদার, অনিল চন্দ্র বেপারী, দিলীপ চন্দ্র বেপারী, নিরঞ্জন বেপারী, সুজিকুমার জিতেন, সুভাস, হিরেন, নরেন চন্দ্র, দিরেন হালদার, মিলন হালদার, দিলীপ হালদার ও সুনীল সহ ভারাটে সন্ত্রাসিরা কুমড়াখালী শ্রী শ্রী হরি মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করে অতুল চন্দ্র বেপারীর মাছের ঘের ভরাট করার সময় বাধা দিতে আসে জমির মালিক অতুল চন্দ্রের স্ত্রী কুনতী রানী ও তার নাতনী পিংকি রানী।
এসময় দীলীপ চন্দ্রের নির্দেশে তাদেরকে বেধে বেধড়ক ভাবে পেটায়। পরে তারা তাদের মাছের ঘেড় দখল করে মন্দিরের ঘর নির্মান করে, তাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
তবে জমি দখলের কথা শিকার করে শান্তি রঞ্জন জানান, মন্দিরের জন্য জায়গাটুকু দরকার ছিল তাই তারা রাতের আধারেই দখল করেছেন যাতে কেউ বাধা দিতে না পারে।
তবে ঘটনার পর থেকেই এলাকায় চড়ম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কুনতী রানীকে দেখতে গিয়ে বরগুনা পুলিশ সুপার বিজয় বসাক, বিপিএম, পিপিএম জানান সাত দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
ঘটনার পর আতংকের মধ্যে রয়েছে অতুল ব্যাপারীর স্বজন ও প্রতিবেশীরা। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে গিয়েও মামলা না করার জন্য হুমকি দিয়েছে দীলীপ চন্দ্র অধীকারীর সমর্থকরা। জমির পরিচয় কুমড়াখালীর মৌজার ১২ ও ১৩ নং খতিয়ানের দাগ নং- ১৬২৩,১৬২৪,১৬২৭,১৬২৮ অন্তরভূক্ত। আহত কুনতি রানী ও পিংকি তাদের শারিরীক নির্যাতনের কথা বর্নণা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। তবে এলাকাবাসীর পক্ষে রঞ্জন হালদার, অনিমা রানী, পরিতোষ মিস্ত্রী, সুভাস, সোহাগ মিত্র সহ অনেকে এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে মূল অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান।