বাকেরগঞ্জে ইয়াবা সম্রাট লিটনের ভয়ে এলাকা ছাড়া এইচএসসি পরিক্ষার্থী
জি এম নিউজ জি এম নিউজ
বাংলার প্রতিচ্ছবি

স্টাফ রিপোর্টার : বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণকাঠি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আওলাদ হোসেন খান লিটনের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে পরিক্ষা দিচ্ছে স্বাধীন খান নামের এক এইচ এস সি পরিক্ষার্থী ।
বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজ এর বানিজ্য বিভাগ থেকে এ বছর এইচ এস সি পরিক্ষা দিচ্ছেন এই পরিক্ষার্থী।
গ্রামের বাড়ি কৃষ্ণকাঠি থেকে মাত্র ২০ মিনিটের পথ বাকেরগঞ্জ প্রতিদিন বাড়ি থেকেই আসা যাওয়া করে পড়া লেখা চালিয়ে আসছিলো স্বাধীন। লিটন এর মাদক ব্যবসায় যোগ না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্বাধীনকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় । এ ঘটনা স্বাধীন তার বাবা শহিদ খানকে জানালে তিনি লিটনকে ডেকে সাফ জানিয়ে দেয় তার ছেলের পিছনে যেন লিটন না ঘোরে কারন স¦াধীন এই কাজে কোনদিনই তাকে সহায়তা করবে না । এর পর নানা কৌশলে লিটকে এড়িয়ে চলতো স্বাধীন । এরপরও লিটন এর হুমকি অব্যহত থাকে।
গত পহেলা এপ্রিল আবারও লিটন ,মামুন ও দুলাল স্বাধীনের গতি রোধ করে বলে তার প্রস্তাবে রাজী হয়ে মাদক ব্যবসায় নামতে, তা না হলে আগামী কাল থেকে পরিক্ষা দিতে পারবে না । এমনকি প্রানে মেরে ফেলাসহ ইয়াবা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দিবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেয় । এর আগে স্বাধীন এর মা ফারিয়া ইসলাম শিরিন লিটন এর বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন । যার নং ১৪২/১৮। বর্তমানে স্বাধীন বাকেরগঞ্জএর রতœা আমিন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরিক্ষা দিচ্ছেন ।
এ ঘটনায় স্বাধীন এর বাবা শহিদ খান বলেন ছেলে লিটন এর ভয়ে পালিয়ে এক এক দিন এক এক বন্ধুর বাসায় থেকে পরিক্ষা দিচ্ছে । তারপরও ওরা মটর সাইকেল নিয়ে আমার ছেলেকে খুঁজে বেড়ায় । বন্ধুরা দলবেধে পরিক্ষার হলে যায় বিধায় কোন ক্ষতি এখনও করতে পারে নি কিন্তু তারপরেও দু:চিন্তার মধ্যে থাকি সব সময় । স্বাধীন এর মা ফারিয়া ইসলাম শিরিন বলেন পরিক্ষার সময় ছেলেকে একটু ভালো খাবার ও দিতে পারি না লিটন ও তার দল সব সময় আমাকে ফলো করে কোথায় যাই কি করি । ছেলের কাছে গেলে যদি তার খোঁজ লিটন পায় তাহলে আমার বাবার জীবনটা ও ধ্বংস করে দিবে ।
কৌশলে এলাকার তরুন ও যুবসমাজ থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের ইয়াবায় আসক্ত করে রমরমা বাণিজ্যে মেতে উঠেছে এই মাদক স¤্রাট আওলাদ হোসেন খান লিটন। তার আগ্রাসী ছোবলে সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে মহাদুশ্চিন্তায় পরেছেন সচেতন অভিভাবকরা। লিটনের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে তাকে জড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন মিথ্যে মামলায় ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, মাদক সম্রাট লিটন দীর্ঘদিন থেকে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী দুলাল, মামুন ও মস্তফাকে দিয়ে এলাকায় মাদকের রমরমা বাণিজ্য করে আসছে। তাদের দলে রয়েছে একাধিক নারী সদস্য। মাদক বিক্রিতেই সীমাবদ্ধ নয় লিটন। কৃষ্ণকাঠি এলাকায় জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে হলেও লিটন বাহিনীকে মাসোয়ারা দিতে হয়। লিটন বাহিনীর সহায়তা ছাড়া কেউ জমি ক্রয়-বিক্রয় করলে তার দখল নিতে দেয়া হয়না।
ওই এলাকার একাধিক অভিভাবকরা জানান, এলাকার উঠতি বয়সের যুবকদের লিটন প্রথমে টাকা ছাড়া ইয়াবা সেবন করায়। মাঝে মধ্যে যুবকদের টাকা দিয়ে সহায়তার নামে ফাঁদ পাতে লিটন। ওইসব যুবকদের কাছে লিটন টাকা ফেরত চেয়ে না পেয়ে ওই যুবকদের মাদক ব্যবসায় নামিয়ে দেয়। লিটনের ইয়াবার রাজ্যে স্কুল ও কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীদের জীবন আজ বিপন্ন হয়ে উঠেছে।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত লিটন বলেন এ সব আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত আমি রাজনীতি করি তাই এলাকার কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।