বাকেরগঞ্জে পাদ্রীশিবপুরের আতঙ্কের অপর নাম দুলাল বাহিনী

প্রকাশিত: ১০:৪৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০১৮ | আপডেট: ১০:৫৩:অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০১৮

বাকেরগঞ্জে উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের আসমান ডাক্তারের পুত্র দুলাল ও ওরফে ত্রাস দুলাল বাহিনীর আতঙ্কে রাতের ঘুম হারা এলাকাবাসীর। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দুলাল ওরফে ত্রাস দুলাল দীর্ঘদিন যাবৎ তার বাহিনী গঠন করে পাদ্রীশিবপুরে রাম রাজত্ব কায়েম করছে। দুলাল বাহিনী এলাকায় চুরি-ডাকাতি, জবর দখল, চাঁদাবাজি ও নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে।

দুলাল বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পরছে পাদ্রীশিবপুরের সাধারণ মানুষ। পাদ্রীশিবপুর আব্দুল খালের পুত্র মোশারেফ হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ একই এলাকার মো. হাসেম ডাক্তারের পুত্র, মো. শামসুল হক, মোজাম্মেল হোসেন, নজরুল গংদের সাথে এস.এ খতিয়ান ৪৭৭ এবং দাগ নং- ৬২১০ মোট ২৮ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষে বরিশাল আদালতে মামলা চলমান। মামলা নং-১৬৫। আদালত উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য জমির উপর স্থবির আদেশ প্রদান করেন। কিন্তু শামসুল হক গংরা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দুলাল বাহিনী মাধ্যমে আদালতের আদেশ অমান্য করে গত ২৬ মার্চ বেলা ১২ টায় দা, রাম দা, হকিষ্টিক ও লাঠিশোঠা নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে।

 

এসময় দুলাল, সেলিম ওরফে ধলাই, রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও সেকেন্ড ইন কমান্ড পাশ্ববর্তী বেতাগী উপজেলার আব্দুর রহমান শেখের পুত্র সোহাগ শেখ ও রাজু শেখের হামলায় দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী ফুলভানু বেগম (৬০),আব্দুল খালের স্ত্রী আমেনা খাতুন(৬৩), মোশারেফ হোসেনের কন্যা তানিয়া আক্তার (২৫) সহ আরও অনেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাত অব্যবস্থায় ফেলে রেখে যায়। এসময় আহতদের ডাক-চিৎকারে এলাকার সাধারণ মানুষ ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। উল্লেখ্য দুলাল বাহিনীর প্রধান দুলালের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা নং-২১৬/১২। চাঁদাবাজি মামলা নং-৯৭/১৮। ২০১০ সালে প্রকাশ্যে গরু চুরি করতে গিয়ে দুধাল মৌর চরে জনতার হাতেনাতে ধরা পড়ে। এছাড়াও বিভিন্ন চুরি বিষয়ক অভিযোগ রয়েছে। দুলাল বাহিনীর অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্মকর্তা সু-দৃষ্ঠি কামনা করছে এলাকাবাসী।

Print Friendly, PDF & Email