
বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি
বাকেরগঞ্জে উপজেলা দুধাল ইউনিয়নের গোমা খেয়া ঘাট থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ দুধাল, ফরিদপুর, নলুয়া, গারুড়িয়া ও কলসকাঠীসহ বিভিন্ন এলাকায় চরাদি, চরামদ্দি ও বরিশাল সহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়েত করে। খেয়া পাড়াপাড়ে জনসাধারণের ভোগান্তির, হয়রানী ও অধিক টাকা দিয়ে পাড়া হতে হয়। এ যেন দিনে দুপুরে চাঁদার হাট বসেছে। দিনটা যেমন তেমন সন্ধ্যা হলে ইজারাদাদের চাঁদবাজী আরও বেপরোয়া গতিতে বেড়ে যায় কয়েকগুন ।
সরকারী নিয়ম নীতি অনুযায়ী জন প্রতি ৩ টাকা, মোটর বাইক ১২ টাকা, গরু-ছাগল ৫ টাকা নেয়ার নিয়ম থাকলেও ইজারাদার মৃত: আকব্বার আলীর পুত্র সোহেলের কাছে জিম্মি হয়ে পরছে সাধারন যাত্রীরা। সোহেল সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে জন প্রতি ৫/১০ টাকা, মোটর বাইক ৫০/১০০/২০০ টাকা পযর্ন্ত, গরু-ছাগল ৫০/১০০ টাকা পযর্ন্ত নিয়ে থাকে। যে কোন উৎসবের সময় আদায় করা হয় ডাবল ভাড়া।
১৫ কেজি ওজনের বিভিন্ন মালামাল বা আসবাবপত্রের ক্ষেত্রে কোন প্রকার ভাড়া না নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সুযোগ বুঝে সেখানে আদায় করা হয় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। সরকারী ট্রলার বন্ধ রেখে রিজার্ভ ট্রলার হিসেবে ১৫ টাকা আদায় করা হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। প্রতিবাদ করলে সম্মুখীন হতে হয় অনাকাঙ্খিত ঘটনার। ফেরী বন্ধন করে তাদে ইচ্ছে মত ট্রলারে লোক পাড়া পাড়ে যাত্রীদের সাথে অশ্লীল আচরন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে টোল আদায় করছে সোহেল। দীর্ঘ দিন ধরে এভাবে সাধারন মানুষের উপর জুলুমবাজী চললেও কেউ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। জানতে চাইলে গোমা খেয়াঘাটের ইজারাদার সোহেল বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ঘটনা সবাই জানে।
এটা চাঁদাবাজি নয় দাবি করে অন্য যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জেনে নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী সালেহ্ মুস্তানজির বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে কিছু জানা নেই। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বরিশাল জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট অনিয়ম ও চাঁদবাজির বিষয় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। গোমা খেয়া ঘাটের দুর্ভোগ, ভোগান্তি ,হয়রানী ও চাঁদবাজী হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সকল উধ্বর্তন কর্মকর্তার সু-দৃষ্ঠি কামনা করছেন এলাকাবাসী ।