যশোরের চৌগাছায় আবারোও পুলিশ কেলেঙ্কারী, স্বর্ণ দোকানি ছেলেকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ।

প্রকাশিত: ৫:১৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০১৮ | আপডেট: ৫:১৯:অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০১৮

যশোরের চৌগাছায় আবারো চার পুলিশ দ্বারা স্বর্ণব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। চৌগাছা থানার এএসআই কামরুলজ্জামান, এএসআই আকবর এএসআই লিপুনুর রহমানও কনেসটেবল নাজমুল সহ চার জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী জানান, চৌগাছা বাজারস্থ স্বর্ণপটিতে সেনকো জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারীর বড় ছেলে বাপ্পি সেন দোকানের সামনে দাড়িয়ে দুপুরের দিকে গল্প করছিলেন। এমন সময় চৌগাছা থানার এএসআই তাকে ইয়াবা আছে সন্দেহে সার্চ করতে চাইলে বাপ্পি সেন দোকানের মধ্যে নিয়ে গিয়ে সকলের সামনে সার্চ করতে বলেন। আশেপাশের লোক জড় করে যখন সার্চ শুরু করা হয় তখন বাপ্পি সেনের কাছে কোনো ইয়াবা পাওয়া না গেলেও জনগণের তৎপরতায় পুুুলিশের নিকট থেকে ইয়াবা উদ্ধার করে স্থানীয় জনতা। সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজিত জনতা তাদেরকে দোকানের কোলাপসিকল গেটে তালা দিয়ে আটকে রেখে বাইরে বিক্ষোভ আরম্ভ করে। ঘটনা শুনে বাজারের সকল ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখে ঘটনাস্থলের প্রতিবাদে অংশ নিতে জড় হয়। ঘটনা সামাল দিতে সেখানে হাজির হন পৌর মেয়র নুর-উদ্দীন আল মামুুুন হিমেল, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, কাউন্সিলরসহ গণ্যবান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত হন। এরপরই চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে জনতার রোসানলে পড়লেও ব্যবসায়ী সমিতি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় ঐ এএসআইকে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যায়।

মূূলত গত ২০১৬ সালের ২৬ ই অক্টোবর চৌগাছা বাজারের কসমেটিক্স ব্যবসায়ী সুপার ইলেকট্রিক্সেও একই ঘটনা ঘটে। তখন সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মূল ঘটনা ধরা পড়লে ঐ ঘটনার সাথে জড়িত এ এসআই সিরাজকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে যশোর পুলিশ লাইনে  পাঠানো হয়। বর্তমানে সেই এএসআইকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডিউটিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

আজকের এ ঘটনায় বাজার ব্যবসায়ী সমিতি সুুুুষ্ঠু বিচারের দাবিতে অনিদিষ্টকালের জন্য দোকান বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়ে বাজারে মাইকিং করেছে এবং ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের বিকালে স্থানীয় ভাস্কর্যের মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে স্থানীয় জনসাধারণ।

Print Friendly, PDF & Email