
গ্রেফতার হওয়া সাবু একই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবালের অনুসারী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ময়নুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘মেহের আফজাল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এক সভায় মহিউদ্দিন নামে এক যুবলীগকর্মীকে কুপিয়ে খুন করা হয়। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে সাবু নামে একজনকে গেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে থানার ওসি আরও বলেন, ‘খুনের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবালের অনুসারীরা জড়িত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নগরীর দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান মুরাদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাসানের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন নিহত মহিউদ্দিন। যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও কোন পদে নেই। তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভাসমাবেশে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতো মহিউদ্দিন।
একই এলাকায় তাদের বিরোধী গ্রুপে ছিলেন জাতীয় নির্বাচনে বন্দর আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবাল। যিনি ২০১৭ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে নগরীর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘হায় মুজিব হায় মুজিব’ মাতমে নিজের শরীর থেকে কথিত রক্ত ঝড়ানোর চেস্টায় জিঞ্জির চাকু দিয়ে আঘাত করে শিয়াদের মতো মাতম করে আলোচনায় আসেন।
যুবলীগকর্মী মহিউদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হাজী ইকবালের বিরুদ্ধে প্রায় সময় স্ট্যাটাস দিতেন। এর দ্বন্দ্ব থেকেই মহিউদ্দিনকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে যুবলীগকর্মী মহিউদ্দিনের মাথা, বুকে, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।