সাংবাদিকদের জীবন কথা

প্রকাশিত: ৪:০৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০১৮ | আপডেট: ৪:০৮:অপরাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০১৮

শুরুর কথা

এবারের বই মেলায় প্রায় ৭০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে বলে খবর এসেছে।  মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকার যুগে বাংলাদেশের মানুষ এতো বিপুল পরিমাণ বই কিনছে সেটা অনেক বড় ব্যাপার!

মেলা থেকে আমি নিজের জন্য একটিই বই কিনেছি। সেটি হল এই সময় প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত “অতি সাধারণ এক সাংবাদিকের কথা”। অনেকটা আত্মজীবনীমূলক বইটি লিখেছেন সাংবাদিক আলম রায়হান। “অনেকটা আত্মজীবনী লিখেছি এই কারণে যে বইটি, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের আত্মজীবনী গ্রন্থ “অর্ধেক জীবন” বা বঙ্গবন্ধুর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী’’র মতো নয়। হুট করে গল্প করার ছলে সাংবাদিকতার পথে হেঁটে চলার অভিজ্ঞতার কথা বলে গেছেন আলম রায়হান। আবার কোথাও আগের ঘটনার সাথে মিলে যায় এমন বর্তমান ঘটনার কথাও লিখেছেন তিনি। যেমন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া “অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী” এরশাদের সময় গৃহবন্দী ও গ্রেফতার হয়েছিলেন। সেই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ২০০৭-২০০৮ সালের “অস্বাভাবিক” তত্ত্বাবধায়ক সরকারের” সময়ে দুই নেত্রীর গ্রেফতারের কথা তুলে ধরেছেন। তাই বইটিতে ঘটনার পর ঘটনা বলে যাওয়ার ব্যপারটি নেই। প্রাসঙ্গিক ভাবে সব জায়গায় এসেছে বর্তমান সময়ের কথাও।

মানুষের যাপিত জীবনটাই কথামালা দিয়ে সাজানো। সেখানে থাকে নানা উত্থান-পতন, সুখ ও কষ্টের গল্প। কিন্তু সাংবাদিকের জীবন শুধু আপন জীবনের গল্প আবর্তিত হয় না। কারণ একজন সাংবাদিকের বিভিন্ন অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সাথে নিবিড় যোগাযোগ থাকে। তাই সাংবাদিকও দৃশ্যমান ঘটনার পাশাপাশি অদৃশ্য বহু ঘটনার নীরব সাক্ষী হয়ে যান। বইটিতে তেমন বহু ঘটনা ও ব্যক্তির রাজনৈতিক চরিত্র খুঁজে পাওয়া যাবে।

স্বাধীনতার প্রথম দশকের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনীতি ও রাজনীতিবিদের চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। কারো কারো হাঁড়ির খবরের কিছুটা তুলে ধরেছেন এক সময়ের জনপ্রিয়“ সাপ্তাহিক সুগন্ধা” ‘র সম্পাদক। যিনি গেদু চাচার খোলা চিঠি লিখে পাঠক প্রিয়তা পেয়েছিলেন।

বইটির লেখক অভিনবভাবে উদাহরণ দিয়ে তাঁর চোখে দেখা বিষয়গুলো নিয়ে গল্প করেছেন। ছাত্র জীবনে “বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের রাজনীতির বিভ্রান্তিতে” জড়িয়ে যাওয়া আলম রায়হান জেনারেল জিয়ার সাথে কর্নেল তাহের ৭ নভেম্বর কেন্দ্রিক অভ্যুত্থানের ঘটনাকে “জাসদের আত্মহননের প্রেম” বলে উল্লেখ করেছেন। এতো সংক্ষেপে জেনারেল জিয়ার ক্ষমতা দখল ও কর্নেল তাহেরের ফাঁসির কথা অনেকেরই হয়ত পড়া হয়নি। আবার নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেছেন, “অতি বিপ্লবী হিসেবে প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্যে জাসদে আশ্রয় নিয়েছিলো স্বাধীনতা বিরোধীরা”। স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে “উদার জমিনের স্বর্ণদ্বার খুলে দিয়েছিলেন জেনারেল জিয়া”।
বই পড়ার সময় মনে হবে, কোনো এক দারুণ গল্পবাজ মানুষ আপনার পাশে বসে গল্প করে যাচ্ছে। আর আপনি তা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেই যাচ্ছেন। ৩৮ বছর আগের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিএফপিকে “দুর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত সংস্থা” (পৃষ্টা-১৬) হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পত্রিকার সার্কুলেশন অনুযায়ী সরকারী বিজ্ঞাপনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। যে সব পত্রিকা ৫০০ কপি ছাপানো হয় এমন পত্রিকাকে সার্টিফিকেট দেয়া হতো হয় ৫০,০০০। কিংবা ১৫০০ ছাপানো হতো এমন পত্রিকাকে ১৫০০ এরপর দুইটি শূন্য বসিয়ে দেড় লাখ ছাপানো হচ্ছে বলে প্রতিবেদন দেয়া হতো। সেই কথাই তুলে ধরেছেন তিনি।

আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বহু রাজনীতিকের সাথে যোগাযোগ ছিলে আলম রায়হানের। অনেকের সাথে পরিবারের সদস্যদের মতো উঠা-বসা ছিলো তার। এমনটা এখন হয়ত দেখাই যায় না। কারণ সাংবাদিকের গায়ে দলীয় সীল পড়ে গেছে। কিংবা দলীয় সিল মেরে নিতে হয়। নয়ত চলা যায় না।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী আতাউর রহমান খান, শেখ রেহেনা, কমরেড তোহাসহ বহু রাজনীতিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তিনি। এরমধ্যে বঙ্গবন্ধুর “নেপথ্য খুনি” খোন্দকার মোস্তাকও আছেন। খন্দকার মোস্তাককে এক প্রশ্ন করে চাকুরীতে দুর্বল হয়েছিলেন তিনি। “ যেটাকে “মস্তকের পালক সম ধাক্কা” হিসেবে মনে করেছেন লেখক।

সাক্ষাৎকার পাওয়ার কৌশল
১. অনাগত সাংবাদিকদের জন্য বইটি অবশ্য পাঠ্য হতে পারে নানা দিক বিবেচনায়। পাওয়া যাবে সংবাদ পত্র ও সাংবাদিকের জীবন যাত্রার হিসেব-নিকেশ। রাজনীতিকদের ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে নানা কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। যেমন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহেনাকে “ইন্টারভিও না পেলে চাকুরী চলে যাবে” এমন কথা বলে মনস্তাত্ত্বিকভাবে দুর্বল করেন। পরে “রাজনৈতিক প্রশ্ন না করার শর্তে” ইন্টারভিও পেয়েছিলেন। অবশ্য সে কথা রাখেনি। সাংবাদিকরা যা সব সময়ই করে!

২. স্বৈরাশাসক এরশাদ এর সময় বিবিসির সাংবাদিক আতাউস সামাদকে গ্রেফতার করা হয় ১৯৮৭ সালের নভেম্বরে। পুলিশ হেফাজতে থাকা আতাউস সামাদের ইন্টারভিও নেয়ার এ্যাসাইনমেন্ট দেন সম্পাদক। পিজি (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) হাসাপাতালের করিডোরে দাঁড়ানো কয়েকজন পুলিশকে দেখার পর “এমন একটা ভাব নিলাম যেন আমি কোনো সংস্থার লোক, বললাম সব ঠিক আছে! কাউকে ঢুকতে দেবেন না। এই বলে আমি করিডোরে ঢুকে পড়লাম। আর দরজায় বসা দুই পুলিশের দিকে অর্থপূর্ণ লুক দিয়ে রুমে ঢুকে পড়লাম”।

৩. এরশাদের ভাইস প্রেসিডেন্ট সংবাদ মাধ্যম বিমুখ বিচারপতি নূরুল ইসলামের সাক্ষাৎকার পাওয়ার কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন তাঁরই স্ত্রী কে। “খোঁজ খবর নিলাম ভাইস প্রেসিডেন্ট এর পরিবারের কে কি করে। জানা গেলো তার স্ত্রী জাহানারা আরজু কবি। “ আগে ফোন না করে ভাইস প্রেসিডেন্ট অফিসে থাকাকালে দুপুরে গিয়ে হাজির হলাম তাঁর ওয়ারীর বাসায়। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দেখা করতে চাইলাম কবি জাহানারা আরজুর সাথে”। এভাবেই ভাইস প্রেসিডেন্ট এর ইন্টারভিও নিয়ে স্বার্থ উদ্ধার করেছিলেন।

হতাশা ভরা সাংবাদিকদের জীবন
আরো দুইযুগ পরে বাংলাদেশের সাংবাদিকতা নিয়ে হয়ত গবেষণা হতে পারে। বহু স্বপ্ন নিয়ে আসা তরুণরা কে সাংবাদিকতা পেশায় স্থায়ী হতে পারছে না? হতাশা মাথায় নিয়ে কেন চলে যাচ্ছেন অন্য পেশায়? আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হয়ে শেখ হাসিনার দেশে ফেরেন ১৯৮১ সালে। ওই বছরই ৩০০ টাকা বেতনে সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন লেখক। এক যুগ পর সাপ্তাহিক সুগন্ধায় বেতন পেতেন প্রায় দেড় লাখ টাকা। সে সময় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো সাপ্তাহিকটি। এক সময়ে সফলতার শিখরে আহরণ করা একজন সাংবাদিক; এখন ভালো কোনো পত্রিকা বা টেলিভিশনে জায়গা করে নিতে পারছেন না। তাই “ফ্রীল্যান্স হিসবে লিখা-লিখি” করছেন তিনি। পত্রিকা ও টেলিভিশনে খ্যাতনামা বহু সাংবাদিক তার সহকর্মী ও অধীনে থেকে কাজ করেছেন। প্রথম জীবনে আমিসহ অনেকেই তিনি গড়ে ওঠার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তবুও মিডিয়া নিয়ে নিদারুণ ভাবে বলেছেন, “ মিডিয়ার সবখানেই নিয়ন্ত্রণ রেখার নেতৃত্বে অসীনরা…. এক সময় আমার জুনিয়র, অনুকম্পাপ্রাপ্ত অথবা তাদের মুরুব্বিরা। এরা আমাকে সম্মান করেন, ভালোওবাসেন কিন্তু পাশে, অথবা উপরে বা নিচে বসানোর অব্যক্ত আবেদন নীরবে এড়িয়ে গেছেন অনেকে। এটিই বাস্তবতা”।

আবার লিখেছেন, “চাকুরী পাওয়ার সুযোগ কমতে কমতে খুবই শীর্ণ হয়ে গেছে দখল আর দূষণে মৃত প্রায় নদীর মতো”। এর মধ্যে দিয়ে বইটি “অতি সাধারণ এক সাংবাদিকের জীবন কথা” থাকেনি। হয়ে গেছে সাংবাদিকদের জীবন কথা। আমরা জানি এটা শুধু আলম রায়হানের অভিজ্ঞতাই নয়, বহু সাংবাদিকের “জীবন থেকে নেয়া” প্রতিচ্ছবিই একেঁছেন এই লিখার যাদুকর।

বহু মামলা ও জেলে দুইবার
বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দুই সরকারের সময়ই তাকে জেলা যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছিলো। প্রথমবার ঢাকার মেয়র মির্জা আব্বাসের মানহানির মামলায় জেলে গিয়েছিলেন। তবে মির্জা আব্বাসের মামলায় উপযাচিত হয়ে জামিন করিয়ে দিয়েছিলেন এখনকার খাদ্য মন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। এ জন্য “হাতাহাতির মতো অবস্থা করেও” টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়াকে বলেছেন, “অদ্ভুত অভিজ্ঞতা”। আর আওয়ামী লীগের সময় জেলে ছিলেন ১৭ দিন।

কোথায় হারিয়ে গেলো সাপ্তাহিক পত্রিকা?:
সাপ্তাহিক জনকথা, জনতার ডাক, ঝরনা, রিপোর্টার, সন্দ্বীপ, ফসল, সুগন্ধা, সুগন্ধা কাগজ ও বহু দৈনিক পত্রিকার বের হতো স্বাধীনতার দ্বিতীয় দশক। এরমধ্যে বহু দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকা বাজারে আর দেখাই যায় না। কেন এতো পত্রিকার বের করা হতো? এসব পত্রিকায় অর্থায়ন কারা করতো? কেন করা হতো? এসব হতে পারে একটা গবেষণার বিষয়। তবুও তিনি নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছেন মিডিয়ার অর্থায়নের কদর্য সেই দিক। “প্রচলিত সরল পথে হেঁটে কোনো প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখা প্রায় ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। ফলে ঝলমলে সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে থাকে কুৎসিত ক্লেদ”। তবে দৈনিক পত্রিকাগুলো “গরু কিনলে বাছুর ফ্রি মতো বালখিল্য প্রবণতায় আক্রান্ত হয়ে” পত্রিকাগুলো প্রতি সপ্তাহে একটি ম্যাগাজিন দেয়াকে জনপ্রিয় সাপ্তাহিক পত্রিকার হারিয়ে যাওয়ার পেছনে দায়ী করেছেন তিনি। সাথে যোগ করেছেন “উপযুক্ত লোকবলের আকাল”কে।

৭৫ এর খুনি চক্রের অর্থায়নে মিডিয়া:
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই থেমে ছিলো না খুনি চক্র। চালিয়ে গেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রচারণা। সেজন্য হাতিয়ার হিসেবে বের করেছে পত্রিকা। দৈনিক মিল্লাতের সম্পাদক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক সাপ্তাহিক জনকথায় “নিম্ন মানের আওয়ামী বিরোধী বিষোদগারে ভরপুর” লিখা পাঠাতো। যা জনকথার সম্পাদক “আমাদের লোক; জোড়াতালি দিয়ে” ছাপানোর নির্দেশ দিতেন। দাপুটে সব রাজনৈতিক নিউজ করার কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই সম্পাদকের আস্থা অর্জন করেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর “নেপথ্য খুনি মোস্তাককে” এক প্র্রশ্ন করার পর চাকুরী বাঁচিয়ে রাখার হুমকিতে পড়ে যান তিনি। তখনই জানতে পারেন, “পত্রিকার যে পলিসি তাতে খোন্দকার মোস্তাক বা ফারুক-রশিদের বিষয়ে নেগিটিভ ধারণা পোষণ করা যাবে না।“ পরে জেনেছেন পত্রিকাটি চলে খুনি ফারুক-রশিদের টাকায়। এ কথা শুনার পরই সাথে সাথে চাকুরী ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, “বঙ্গবন্ধুর খুনীচক্র মুখোশ হিসেবে বেঁছে নিয়েছেন আমেনা বেগমকে”। প্রতি সপ্তাহে পত্রিকা বের হওয়ার দুই দিন আগে ফারুক-রশিদের দেয়া চেক আমেনা বেগমের বাসা থেকে নিয়ে আসতেন সম্পাদক। “ আমেনা বেগম ছিলেন ফারুক-রশিদের ক্যাশিয়ার”।
সাপ্তাহিক জনকথা, সাপ্তাহিক মিল্লাত ও সাপ্তাহিক ঝর্ণাসহ বহু পত্রিকায় পৃ্ষ্ঠপোষকতা করেছিলো ৭৫ এর খুনি চক্র। যা জানা যায় বইটি থেকে। এখনো মিডিয়া ও অনলাইনে দেশ বিরোধী প্রচারণায় ৭৫ এর খুনি চক্র ও যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরাধিকারীরা টাকা ঢালছে বলেই আমার মনে হয়।

নেতাদের একি কদর্য চেহারা!
সেই খুনি চক্রের সাথে গোপনে নিবিড় যোগাযোগ দেখেছেন এক সময়ের জাসদ পরে আওয়ামী লীগ আর এখন নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার সাথে। “কর্তৃপক্ষের নির্দেশে” পত্রিকার শিডিউল পিছিয়ে দিয়ে “মান্নার দেয়া ৭৫ মিনিটের বক্তব্যকে লিড করে” পত্রিকা প্রকাশ করা হয়।
বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদীন ফারুক, আসাদুজ্জামান রিপনসহ অনেকের বিভিন্ন সময়ে নিচে নামার চাক্ষুষ বর্ণনা পাওয়া যাবে বইটিতে।

শেষের কথা: 

“শেষ হইয়াও হইলো না শেষ” এমন করেই লিখাটা শেষ হয়ে গেছে। যদিও “প্রথম খণ্ডের সমাপ্তি” বলা হয়েছে। পুরো বইটিতে কোনো পরিচ্ছদ নেই। পড়তে গিয়ে এটাকে এক ধরণের অসুবিধা বলে মনে হয়েছে আমার। যত ভালো গল্পই হোক টানা নিশ্চয়ই পড়া যায় না। আগেই বলেছি নিজস্ব ঢং এ লিখা হয়েছে বইটি। তবে বাংলাদেশের ইতিহাস বিষয়ে যাদের সামগ্রিক একটা ধারণা, আছে তাদের কাছে বইটি পড়তে অনেক বেশি ভালো লাগবে। হয়ত মনে হবে, অনেক কিছুই জানা গেলো বইটি থেকে, যা অন্য কোনো বই এ নেই। একজন মানুষের সাংবাদিকতা পেশায় আসা থেকে শুরু করে এই পেশার উত্থান- পতনের নানা দিক বুঝা যাবে বইটি থেকে। দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখা বইটিতে অভিনব ভাবে উপমা ব্যবহার করা হয়েছে, তাই সহজেই বইটিতে ডুবে যাওয়া যায়। যা লেখকের অন্যতম গুণ বলেই আমার মনে হয়েছে।

সূত্রঃ চ্যানেল আই অনলাইন

Print Friendly, PDF & Email