প্রথিত যশা চিকিৎসক শাহ মোঃ কেরামত আলী’র ইন্তেকাল ॥ শোকপ্রকাশ

জি এম নিউজ জি এম নিউজ

বাংলার প্রতিচ্ছবি

প্রকাশিত: ২:০৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০১৮ | আপডেট: ২:০৭:অপরাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০১৮

বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনষ্টিটিউটের সাবেক পরিচালক, বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক শাহনামা ও দৈনিক বাংলার বনে পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি, প্রথিত যশা চিকিৎসক শাহ মোঃ কেরামত আলী (পিএইচডি) গত ১৯ মার্চ সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় আমেরিকার মিশিগান অঙ্গরাজ্যে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহী…রজিউন)।

 

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন, অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বরিশালের এই কৃতিসন্তান ১৯৪২ সালের ২৪ জুন গৌরনদী উপজেলার বাঙ্গিলা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। শিক্ষাজীবনে শৈশবে তিনি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষ করে টরকি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাস করেন। তিনি সরকারি ব্রজমোহন কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। শিক্ষা শেষে তিনি বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে সরকারি চাকুরীতে যোগদান করেন।

 

১৯৭১ সালে তিনি টরকী বন্দরের বাড়িতে মরহুম হোসেন শাহ’র সহযোগিতা নিয়ে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা প্রদান করেন। চাকুরী জীবনে কৃতিমান এই চিকিৎসক বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়, ঢাকা সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বঙ্গবন্ধু চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় (সাবেক পিজি হাসপাতাল), সর্বশেষ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউশন থেকে অধ্যাপক হিসেবে অবসরে যান। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় পুষ্টি ও খাদ্য অনুষদের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। গতকাল বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় মিশিগানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।


ব্যক্তিগত ভাবে ও পেশাগত প্রয়োজনে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। সুইজারল্যান্ড, লন্ডন, জাপান, জার্মান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, নেপাল, ভারত, ভুটান, সৌদি আরব, বাহরাইন, কাতার। এছাড়াও আরো অনেক দেশ।
সম্প্রতি তিনি আমেরিকায় চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। তার এক মেয়ে আমেরিকা প্রবাসী। ড. শাহ মোঃ কেরামত আলী একজন শিক্ষানুরাগী ও দানবীর ছিলেন। তিনি ডায়াবেটিকস, আলসারসহ উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত একাধিক বই লিখেছেন। তার লেখা দেশি-বিদেশী জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তার মৃত্যুতে দৈনিক শাহনামা ও বাংলার বনে পরিবার এক শোক বার্তায় মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। উল্লেখ্য, ড. শাহ কেরামত আলী প্রবীণ মরহুম সাংবাদিক হোসেন শাহ’র ভাই, অধ্যাপিকা শাহ সাজেদা ও নশরাত শাহ আজাদের চাচা। অধ্যাপিকা শাহ সাজেদা মরহুম ড. শাহ কেরামত আলীর রুহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া চেয়েছেন।


মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন জেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তালুকদার মোঃ ইউনুস এমপি। এছাড়া অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছে বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন।

Print Friendly, PDF & Email