লামায় দেশীয় বন্দুকসহ দু’সন্ত্রাসী আটক

জি এম নিউজ জি এম নিউজ

বাংলার প্রতিচ্ছবি

প্রকাশিত: ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০১৮ | আপডেট: ১২:১৭:পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০১৮

বান্দরবানের লামার গয়ালমারা এলাকার সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ বাহিনীর প্রধান ডেঙ্গা চাকমা তার সহযোগি সুব্রত চাকমাকে দু’টি এক নলা দেশীয় বন্দুক, নগদ ৬৮ হাজর টাকাসহ আটক করা হয়েছে।

সোমবার আলীকদম জোনের সেনা অভিযানে এরা আটক হয় বলে জানাগেছে। ধৃত ডেঙ্গা চাকমা লামা ফাঁসিয়াখালী গয়ালমারা গ্রামের মেনচিং মুরুং কারবারী পাড়ার বাসিন্দা। অপর সহযোগি সুব্রত চাকমা আলীকদম উপজেলার রোয়াম্ভু গৈয়মঝিরি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানাযায়। সেনা সদস্যরা অভিযান করে তাদের কাছ থেকে এসব অস্ত্র নগদ টাকা ছাড়াও একটি কাঠের ডামি বন্দুকও উদ্ধার করেছে। ডামি বন্দুক দিয়ে মানুষকে ভয় প্রদর্শন করে জিম্মিদশায় রেখে টাকা আদায় করতো এসব সন্ত্রাসীরা। এদু’ সন্ত্রাসী আটকের পর গয়ালমারা গ্রামে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে বলে স্থানীয়রা দাবী করেছেন।

গ্রামবাসীরা জানান, এর আগে সেখানে একটি অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপন করলে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সেনা ক্যম্পটি প্রত্যাহারের পর আবারো ওই এলাকায় সন্ত্রাসীদের পদচারণা শুরু হয়। এলাকাটি দূর্গম হেতু সেখানে পাথর, গাছ ও তামাক কেন্দ্রিক চাঁদা আদান প্রদানে সন্ত্রাসীদের আনাঘোনা বেড়ে চলছে। এর ফলে চরম নিরাপত্তা হীনতায় পতিত হন স্থানীয়রা। ১৯ মার্চ আলীকদম সেনা জোনের অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ দু’ সন্ত্রাসী আটকের পর স্থানীয়রা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন বলে ফাঁসিয়াখালী ইউপি সদস্য আপ্রুচিং মার্মা জানান।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, জেএসএস-এর স্বশস্ত্র কমান্ডার কাজল চাকমার নেতৃত্বাধিন ডেঙ্গা চাকমা দীর্ঘদিন ধরে লামার ফাঁসিয়াখালী বনপুর-গয়ালমারা এলাকায় সন্ত্রাস-চাঁদাবাজের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল। তার কাছে এলাকার পাথর, কাঠ-বাঁশ, তামাক ব্যবসায়ি, কৃষক সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ে। ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মজুমদার জানান, ডেঙ্গা চাকমা একটি হত্যা মামলার ফেরারী আসামী, এলাকার আতংক।

ডেঙ্গা চাকমার নেতৃত্বে এলাকা জুড়ে বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী বাহিনী নির্ঝাঞ্ঝাট অবস্থান ও কর্মতৎপরতা চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কয়েক মাস আগে একটি অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প থাকায় কিছুদিন মানুষ নিরাপত্তাবোধ করেছিল। সম্প্রতি ক্যাম্পটি প্রত্যাহার করার পর আবারো সন্ত্রাসীদের কর্মতৎপরতা শুরু হয়।

এ বিষয়য়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনসহ ওই এলাকায় স্থানীয়দের নিরাপত্তার জন্য একটি অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবী জানান গ্রামবাসীরা।

Print Friendly, PDF & Email