মাটিতে আছড়ে ফেলে কাস্তে কাঁচি দিয়ে আঙুল কেটে ফেললেন যুবলীগ নেতা

এ কেমন বর্বরতা, নির্মমতা!

জি এম নিউজ জি এম নিউজ

বাংলার প্রতিচ্ছবি

প্রকাশিত: ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০১৮ | আপডেট: ৮:০৮:পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০১৮

সাত বছরের এক শিশুকে মাটিতে আছড়ে ফেলে কাস্তে (ধান কাটার কাঁচি) দিয়ে হাতের তিনটি আঙুল কেটে দিয়েছেন আবদুল অদুদ নামে এক যুবলীগ নেতা। নির্মাণাধীন হাওর রক্ষা বাঁধে গড়াগড়ি দেয়ায় তাকে ওই শাস্তি দেন তিনি। শনিবার বিকালে শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের মহালিয়া হাওরের ময়নাখালী বেড়িবাঁধে এ ঘটনা ঘটে।

আবদুল অদুদ সুলেমানপুর গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে। তিনি ২৮ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। স্থানীয়রা জানান, বিকালে সহপাঠীদের নিয়ে বাঁধের ওপর খেলছিল সুলেমানপুর গ্রামের শাহনুর মিয়ার ছেলে স্থানীয় মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র ইয়াহিন। বাঁধে গড়াগড়ি খেলে তা দেখেন আবদুল অদুদ।

তাকে ধাওয়া করে ধরে মাটিতে কয়েকবার আছাড় মারেন। ইয়াহিন তার পা ধরে ক্ষমা চাইলেও মন গলেনি। এরপর কাঁচি দিয়ে শিশুটির ডান হাতের তিনটি আঙল কেটে ফেলে দেন। স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে রাতে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। শাহনুর বলেন, বেড়িবাঁধে গড়াগড়ি দেয়ার অপরাধে আমার শিশু সন্তানের তিনটি আঙুল কেটে দিল যুবলীগ নেতা অদুদ। এখন কী করে আমার ছেলে লেখাপড়া করবে? আমি গরিব মানুষ, ওর চিকিৎসা করাব কীভাবে?

জানতে চাইলে আবদুল অদুদ কাছে প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে বলেন, ভাই আমার মাথা ঠিক ছিল না। রাগের মাথায় ঘটনাটা ঘটিয়ে ফেলেছি। তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কানি ধর বলেন, খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। দেশসংবাদ

Print Friendly, PDF & Email