
মস্তিষ্কের প্রতি সেন্টিমিটার জায়গা কোনো না কোনো শারীরিক বা মানসিক কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে। যে অংশেই টিউমার হোক, যত ছোটই হোক, বিপদের আশঙ্কা আছে। কাজেই তা বাদ দিয়ে দেওয়াই যুক্তিযুক্ত। কিন্তু সব সময় তা করা যায় না। ছোট টিউমার, উপসর্গ তেমন নেই, হঠাৎ এসেছে বা সামান্য উপসর্গ আছে কিন্তু অপারেশন করলে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি অথবা বয়স্ক; অন্য কোনো কারণে অসুস্থÑ এমন হলে এবং উপসর্গ থাকলেও সচরাচর অপারেশন করা হয় না। এর বদলে রোগীকে নজরদারিতে রাখা হয়। টিউমার কী গতিতে বাড়ছে, শারীরিক কষ্ট দেখা দিচ্ছে বা বাড়ছে কিনা, টিউমার বাদ না দিলে কী ক্ষতির আশঙ্কা আছে, অপারেশন বা রেডিয়েশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোগী মেনে নিতে প্রস্তুত কিনা ইত্যাদি অর্থাৎ টিউমার নিয়ে রোগী যে ধরনের জীবনযাপন করছেন বা করবেন, অপারেশন করে তার চেয়ে ভালো জীবন দেওয়া হলো অপারেশনের প্রশ্ন। অপারেশনপরবর্তী জীবনযাপন : লাভ লোকসানের হিসাব করেই অপারেশন করা হয়ে থাকে। কাজেই অপারেশনের পর রোগীর জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত হয়। তবে জটিল টিউমারের ক্ষেত্রে কোনো কোনো রোগীর মুখ অল্প পরিমাণ বেঁকে যেতে পারে, চোখে ট্যারাভাব আসতে পারে। শ্রবণশক্তির ঘাটতি, ভারসাম্য কমে যাওয়া, স্মৃতিশক্তি কিছুটা কমে যাওয়াসহ আরও বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আসলে সম্পূর্ণ ব্যাপারটিই নির্ভর করে টিউমার কোথায় হয়েছে, কী গতিতে বাড়ছে এবং তার ধরনের ওপর। তবে রোগ যথাসময়ে ধরা পড়লে খুব ভালোভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব হয়। লেখক : ব্রেইন অ্যান্ড স্পাইনাল সার্জন সহকারী অধ্যাপক, নিউরো সার্জারি বিভাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় চেম্বার : ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল নিউ সার্কুলার রোড, মগবাজার, ঢাকা ০১৮২৭০১৪৯৮২, ০১৭২০০৪৪৩১৩