স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন স্বামী। রোববার সকালে ময়মনসিংহের বিচারিক হাকিম নয়ন চন্দ্র মোদকের আদালতে অভিযুক্ত অনিক মিয়া ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দেন। অনিক (২৮) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের ভাটি চরনওপাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে। তাঁর স্ত্রী সালমা আক্তার (২২) কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার চরকুটিহারি গ্রামের মো. খোকন মৃধার মেয়ে। গত বছর অনিক ও সালমা প্রেম করে বিয়ে করেন। রোববার দুপুরের পর ময়মনসিংহের বিচারিক হাকিম নয়ন চন্দ্র মোদকের আদালতে অনিক মিয়াকে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সজীব ঘোষ। তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, অনিক স্ত্রী সালমা আক্তারকে (২২) হত্যার বিবরণ দিয়েছেন। অনিক বলেছেন, গত বছরের ১৩ অক্টোবর সকালে সালমার সঙ্গে তাঁর তুমুল ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তিনি স্ত্রীর গলা টিপে ধরেন। এতে সালমা মারা যায়। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সালমার লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন অনিক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সালমার লাশ উদ্ধারের পর স্বামী অনিক বলেছিলেন যে, তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় গত বছরের ১৩ অক্টোবর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়। কিন্তু সালমার মৃত্যু নিয়ে এলাকায় কানাঘুষা শুরু হলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচ মাস পর গত বুধবার (৭ মার্চ) ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যায়। তাতে সালমাকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা রয়েছে। পরে সালমার বাবা খোকন মৃধা বাদী হয়ে অনিক মিয়াসহ চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও অনিক স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে